এক লাখ টাকা বাজেটে সেরা মোটর সাইকেল কোনটি? কেনার আগে অবশ্যই দেখুন! |Which is the best motorcycle with a budget of one lakh rupees? Must see before buying!

  


ট্রেন-বাসের ভিড় এড়াতে মোটরসাইকেল কেনার কথা ভাবছন? অথবা পার্সোনালিটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্টাইলিশ মোটরসাইকেল চাই? সেক্ষেত্রে অবশ্যই দেখুন এই লিস্ট। আর হ্যাঁ, সব কটা মোটরসাইকেলই ১ লক্ষ টাকার মধ্যে বা সামান্য বেশি (এক্স-শোরুম)। সাধ্যের মধ্যেই শখ পূরণ।

টিভিএস অ্যাপাচের লুক নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া প্রত্যেক মোটর সাইকেলপ্রেমীই কোনও না কোনও সময়ে অ্যাপাচের রাইডের থ্রিলের প্রেমে পড়েছেন। অ্যাপাচে 4v-র থেকেও অনেকে এই লুকটাই প্রেফার করেন। তাছাড়া রয়েছে বেশ কিছু আকর্ষণীয় রঙও।

এক নজরে দেখুন স্পেসিফিকেশন -

দাম : ১.০১ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)*

ইঞ্জিন : 159.7 CC 1-সিলিন্ডার, 4-Stroke, SI।

মাইলেজ : ৫৪ কিলোমিটার প্রতি লিটার।

ম্যাক্স পাওয়ার : 8,400 RPM-এ 15.53 PS।

পিক টর্ক : 7,000 RPM-এ 13.9 NM।

ফুয়েল সাপ্লাই : রেস টিউনড ফুয়েল ইঞ্জেকশন।

কুলিং : এয়ার কুলড।

ফ্রন্ট ব্রেক : ২৭০ MM ডিস্ক।

রিয়ার ব্রেক : ২০০ MM ডিস্ক।

কার্ব ওয়েট : ১৪০ কেজি।

ফুয়েল ট্যাঙ্ক : ১২ লিটার।

সিট হাইট : ৭৯০ MM।

ABS : সিঙ্গেল চ্যানেল ABS।

ফ্রন্ট সাসপেনশান : হাইড্রলিক ড্যাম্পার-সহ টেলিস্কোপিক ফর্ক।

TVS Apache RTR 160। (ছবি সৌজন্য TVS Apache)
TVS Apache RTR 160। (ছবি সৌজন্য TVS Apache)

২. Bajaj Avenger Street 160

আপনার কি কমফোর্টেবল রাইড পছন্দ? ক্রুজার লুক ভালো লাগে? তাহলে বাজার অ্যাভেঞ্জার আপনার জন্য আদর্শ। তাছাড়া আপনার যদি একটু নিচু সিট চাই, সেক্ষেত্রেও এটি বেশ ভালো অপশন।

এক নজরে দেখুন স্পেসিফিকেশন :

দাম : ১.০২ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)*।

ইঞ্জিন : ১৬০ CC 1-সিলিন্ডার, 4-Stroke।

মাইলেজ : ৪৬ কিলোমিটার প্রতি লিটার।

ম্যাক্স পাওয়ার : 8,500 RPM-এ 15 PS।

পিক টর্ক : 7,000 RPM-এ 13.7 NM।

ফুয়েল সাপ্লাই : ফুয়েল ইঞ্জেকশন।

কুলিং : এয়ার কুলড।

ফ্রন্ট ব্রেক : ২৮০ MM ডিস্ক।

রিয়ার ব্রেক : ১৩০ MM ডিস্ক।

কার্ব ওয়েট : ১৫৬ কেজি।

ফুয়েল ট্যাঙ্ক : ১৩ লিটার।

সিট হাইট : ৭৩৭ MM।

ABS : সিঙ্গেল চ্যানেল ABS।

Bajaj Avenger Street 160। (ছবি সৌজন্য সংগৃহীত)

৩. Hero Xpulse 200

একটু অফরোডার, স্ক্র্যাম্বলার ধাঁচের লুক চাইলে Hero Xpulse 200-কে অবশ্যই তালিকায় রাখুন। পাবেন বেশ অন্যরকম ডিজাইন। তাছাড়া খারাপ রাস্তাতেও আরামে মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন। তবে অফরোডার হওয়ায় এর সিট হাইট বেশ উঁচুর দিকে।

এক নজরে দেখুন স্পেসিফিকেশন :

দাম : ৯৯,৮০০ টাকা (এক্স-শোরুম)*

ইঞ্জিন : ১৯৯.৬ CC 1-সিলিন্ডার, 4-Stroke, 2-Valve।

মাইলেজ : ৩৫-৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার।

ম্যাক্স পাওয়ার : 8,500 RPM-এ 18 PS।

পিক টর্ক : 6,500 RPM-এ 16.45 NM।

ফুয়েল সাপ্লাই : ফুয়েল ইঞ্জেকশন (অপশনাল)।

কুলিং : অয়েল কুলড।

ফ্রন্ট ব্রেক : ২৭৬ MM ডিস্ক।

রিয়ার ব্রেক : ২২০ MM ডিস্ক।

কার্ব ওয়েট : ১৫৭ কেজি।

ফুয়েল ট্যাঙ্ক : ১৩ লিটার।

সিট হাইট : ৮২৩ MM।

ABS : সিঙ্গেল চ্যানেল ABS।


Hero Xpulse 200। (ছবি সৌজন্য সংগৃহীত)

৪. Yamaha FZ FI V3

নেকড স্ট্রিট ফাইটার ডিজাইনের বাইক চাইলে এই দামে সেরা অপশন Yamaha FZ FI V3। অসাধারণ লুকস, বড় বাইকের ফিল আর Yamaha-র রিফাইন্ড ইঞ্জিন ও বিল্ড কোয়ালিটি- সব দিক দিয়েই হাসি ফোটাবে এই মোটরসাইকেল। ওজনও বেশ হালকা। তাই মোটর সাইকেল কেনার প্ল্যান থাকলে Yamaha FZ FI V3-কে পছন্দের লিস্ট-এ অবশ্যই রাখবেন।

দাম : ৯৯,২০০ টাকা (এক্স-শোরুম)*

ইঞ্জিন : ১৪৯ CC 1-সিলিন্ডার, 4-Stroke, SOHC।

মাইলেজ : ৪৫-৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটার।

ম্যাক্স পাওয়ার : ৭.২৫০ RPM-এ ১২.৪ PS।

পিক টর্ক : ৫,৫০০ RPM-এ ১৩.৬ NM।

ফুয়েল সাপ্লাই : ফুয়েল ইঞ্জেকশন।

কুলিং : এয়ার কুলড।

ফ্রন্ট ব্রেক : ২৮২ MM ডিস্ক।

রিয়ার ব্রেক : ২২০ MM ডিস্ক।

কার্ব ওয়েট : ১৩৭ কেজি।

ফুয়েল ট্যাঙ্ক : ১৩ লিটার।

সিট হাইট : ৭৯০ MM।

ABS : সিঙ্গেল চ্যানেল ABS।

Yamaha FZ FI V3। (ছবি সৌজন্য সংগৃহীত)
Yamaha FZ FI V3। (ছবি সৌজন্য সংগৃহীত)

৫. Honda X-blade

একটু লম্বা ডিজাইন-এর এই মোটরসাইকেল দেখতে বেশ স্টাইলিশ। বিশেষত এর এলইডি হেডলাইট রাস্তায় নজর কাড়বেই।

এক নজরে দেখুন স্পেসিফিকেশন :

দাম : ৮৯,৯৫০ টাকা (এক্স-শোরুম)*।

ইঞ্জিন : ১৬২.৭১ CC 1-সিলিন্ডার, 2-Valve।

মাইলেজ : ৪৬-৫১ কিলোমিটার প্রতি লিটার।

ম্যাক্স পাওয়ার : 8,500 RPM-এ 13.86 PS।

পিক টর্ক : 6,000 RPM-এ 14.7 NM।

ফুয়েল সাপ্লাই : ফুয়েল ইঞ্জেকশন (অপশনাল)।

কুলিং : এয়ার কুলড।

ফ্রন্ট ব্রেক : ২৭৬ MM ডিস্ক।

রিয়ার ব্রেক : ১৩০ MM ডিস্ক।

কার্ব ওয়েট : ১৪০ কেজি।

ফুয়েল ট্যাঙ্ক : ১৩ লিটার।

ABS : সিঙ্গেল চ্যানেল ABS।

Honda X-blade। (ছবি সৌজন্য সংগৃহীত)

৬. Hero Xtreme 160R

হিরোর মোটরকর্পস-এর মোটরসাইকেলের ডিজাইনে নতুন জোয়ার আনে Hero Xtreme 160R । হিরোর সেই সময়ের ব্যাকডেটেড ডিজাইনগুলির মাঝে এটি সত্যিই একটি ব্যাতিক্রম ছিল। নতুন বিএসসিক্স মডেলেও নজর কাড়ছে Hero Xtreme 160R । তবে, এর ফ্রন্ট ও ব্যাক-এর ডিজাইন দারুণ হলেও, সাইড লুকটা একটু যেন সাদামাটা। তবে, লুকস আপেক্ষিক। আর হিরোর ইঞ্জিনও উপেক্ষা করা যায় না।

এক নজরে দেখুন স্পেসিফিকেশন :

দাম : ১.০৩ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)*।

ইঞ্জিন : ১৬৩ CC 1-সিলিন্ডার, 2-Valve, 4-Stroke।

মাইলেজ : ৪৫-৫২ কিলোমিটার প্রতি লিটার।

ম্যাক্স পাওয়ার : 8,000 RPM-এ 15.20 PS।

পিক টর্ক : 6,500 RPM-এ 14 NM।

ফুয়েল সাপ্লাই : ফুয়েল ইঞ্জেকশন (অপশনাল)।

কুলিং : এয়ার কুলড।

ফ্রন্ট ব্রেক : ২৭৬ MM ডিস্ক।

রিয়ার ব্রেক : ২২০ MM ডিস্ক।

কার্ব ওয়েট : ১৩৯.৫ কেজি।

ফুয়েল ট্যাঙ্ক : ১২ লিটার।

সিট হাইট : ৭৯০ MM।

ABS : সিঙ্গেল চ্যানেল ABS।

Hero Xtreme 160R। (ছবি সৌজন্য সংগৃহীত)
Hero Xtreme 160R। (ছবি সৌজন্য সংগৃহীত)

৭. Bajaj Pulsar 150 (Twin Disc Variant)

বাজাজ পালসার-এর একটা আলাদাই ফ্যানবেস রয়েছে। বিশেষত অল্পবয়সীদের অনেকেই এখনও পালসারের টাইমলেস লুকস-এর প্রেমেই মগ্ন। তাই পালসার হতেই পারে আপনার পছন্দের বাহন।

এক নজরে দেখুন স্পেসিফিকেশন :

দাম : ১.০১ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)*।

ইঞ্জিন : ১৪৯.৫ CC 1-সিলিন্ডার, 2-Valve, 4-Stroke।

মাইলেজ : ৫৩ কিলোমিটার প্রতি লিটার।

ম্যাক্স পাওয়ার : 8,500 RPM-এ 14 PS।

পিক টর্ক : 6,500 RPM-এ 13.25 NM।

ফুয়েল সাপ্লাই : ফুয়েল ইঞ্জেকশন।

কুলিং : এয়ার কুলড।

ফ্রন্ট ব্রেক : ২৮০ MM ডিস্ক।

রিয়ার ব্রেক : ২৩০ MM ডিস্ক।

কার্ব ওয়েট : ১৫০ কেজি।

ফুয়েল ট্যাঙ্ক : ১৫ লিটার।

ABS : সিঙ্গেল চ্যানেল ABS।

Bajaj Pulsar 150 (Twin Disc Variant)। (ছবি সৌজন্য সংগৃহীত)
Bajaj Pulsar 150 (Twin Disc Variant)। (ছবি সৌজন্য সংগৃহীত)

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post